দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন: এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপক, ব্যাখ্যা করা হয়েছে

সতর্কতা: 2023 সালের ডিসেম্বরে থিয়েটারে দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন-এর প্রধান স্পয়লার নিম্নলিখিতটিতে রয়েছে।

এর মূলে দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন , অ্যানিমে গ্র্যান্ডমাস্টার হায়াও মিয়াজাকির 12 তম বৈশিষ্ট্য, টিটারিং, জেঙ্গার মতো ব্লকের একটি অত্যাশ্চর্য চিত্র যা মিয়াজাকির বিশ্ব-নির্মাণ ক্যারিয়ারকে মূর্ত করে এবং চ্যালেঞ্জ করে। মুভিটি মাহিতো মাকিকে অনুসরণ করে, একটি ছেলে একটি নতুন বাড়িতে মানিয়ে নেয় এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি নতুন সৎ মা। তিনি যখন এই কৌতূহলী কিন্তু ভয়ঙ্কর অঞ্চলটি অন্বেষণ করেন, তখন তিনি একটি অস্বাভাবিক ধূসর হেরন দ্বারা হয়রান হন। হেরনের উদ্ভট আচরণ মাহিতোকে একটি সমান্তরাল জগতে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে দুঃখ, পরিবার এবং পার্থিব দায়িত্বের সাথে তার সম্পর্ককে পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

সিয়েরা নেভাদা টর্পেডো পর্যালোচনা

মাহিতো একটি জরাজীর্ণ টাওয়ার আবিষ্কার করেন যেটি সৎমা নাতসুকোর উজ্জ্বল দাদু দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। নাটসুকো অদৃশ্য হয়ে গেলে, মাহিতো হেরনের জড়িত থাকার সন্দেহ করেন। তিনি টাওয়ারে ফিরে আসেন, যেখানে তাকে একটি বিস্ময়কর পকেট মহাবিশ্বে নিয়ে যাওয়া হয়, এটিও নাতসুকোর নাতনির সৃষ্টি। বৃদ্ধ লোকটি তার সমান্তরাল জগতকে পর্যায়ক্রমে জাদুকরী পাথরের খণ্ডের একটি টাওয়ার পুনর্বিন্যাস করে ভারসাম্য বজায় রাখে, যা মিয়াজাকির ফ্যান্টাসি জগতের সূক্ষ্ম নির্মাণের অনুরূপ একটি অনিশ্চিত আচার। নাতসুকো আসলে মাহিতোর খালা, এই যাদুকরকে তার নাতি বানিয়েছে। তিনি মাহিতোকে তার উত্তরসূরি হিসেবে চান, কিন্তু মাহিতো একজন বিশ্ব-নির্মাতার দায়িত্বে আবদ্ধ হতে অস্বীকার করেন। তার তিরস্কার মিয়াজাকির শিল্পকলার সমালোচনা এবং বাস্তব জগতের সৌন্দর্য ও ভয়াবহতার সাথে এর সম্পর্ক।

মিয়াজাকির মেটাফিকশনাল টেক অন ওয়ার্ল্ড-বিল্ডিং

মধ্যে অন্য বিশ্বের দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন মুভির কসমোলজির মধ্যে বিদ্যমান অনেকের মধ্যে একটি। মাহিতো সংখ্যাযুক্ত দরজা সহ একটি আপাতদৃষ্টিতে অন্তহীন হলওয়ে অতিক্রম করে, যা বিভিন্ন ছুটির শহরগুলির দরজার কথা মনে করিয়ে দেয় বড়দিনের আগে দুঃস্বপ্ন . কিছু দরজা মাহিতোর জগতে বিভিন্ন সময়ে খোলা থাকে, কিন্তু বাকিগুলো মাহিতোর কাছে বন্ধ থাকে এবং দর্শকদের কল্পনার উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এই সমৃদ্ধ চিত্রটি একজন শিল্পীর জীবনযাত্রার মধ্য দিয়ে চলার উদ্রেক করে, যেখানে সত্য এবং কথাসাহিত্যের স্তরগুলি অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সাথে ছেদ করে। মিয়াজাকির ফিল্মোগ্রাফিতে 'বাস্তব' জগতের মধ্যে এবং সমান্তরাল উভয়ই জাদুকরী জগতের একটি বিশাল অ্যারে রয়েছে। ভিতরে স্পিরিটেড অ্যাওয়ে , এলিস-এসক চিহিরো একটি আয়না মত ওয়ান্ডারল্যান্ড মধ্যে পাস, যখন ছায়াছবি মত রাজকুমারী মনোনোকে এবং নিরাময় পৃথিবীর বাস্তুশাস্ত্রের সাথে প্রাসঙ্গিক আধ্যাত্মিক এবং কল্পনাপ্রসূত উপাদানগুলির মধ্যে অনুসন্ধান করুন। সম্ভবত এগুলি মিয়াজাকির ক্যারিয়ারের হলওয়ের অন্যান্য দরজা, তবে তার সর্বশেষ বিশ্বের একটি রূপকল্পিত বাঁক রয়েছে।

স্টুডিও ঘিবলি ফিল্মসের গোপনীয়তা

বিশ্ব মাহিতোর নাতনিটি অসমাপ্ত, এবং বাস্তব জগতের প্রাণীরা সেখানে আক্রমণাত্মক প্রজাতির মতো কাজ করে। যেহেতু এই সাগর-ঢাকা পৃথিবীতে খুব কম মাছ আছে, তাই পেলিকানদের দলগুলিকে অবশ্যই ওয়ারাওয়ারা নামক প্রতিরক্ষাহীন কাওয়াই প্রাণীদের শিকার করতে হবে, যারা 'উপরের বিশ্ব'-এ মানুষ হওয়ার জন্য নির্ধারিত আত্মা। এছাড়াও আছে ছুরি-চালিত প্যারাকিট, যা মানুষের আকারে ফুলে ওঠা এবং মানুষকে খাওয়ার জন্য নরক। এই প্রাণীদের মনে আনা মিয়াজাকি চলচ্চিত্রের অতীতের মানুষগুলো . ওয়ারোয়ারা কোডামা গাছের প্রফুল্লতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ রাজকুমারী মনোনোকে এবং কালি থেকে sprites আমার প্রতিবেশী টোটোরো এবং স্পিরিটেড অ্যাওয়ে . কিন্তু এখানে ওয়ারোয়ারা টাই আছে দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন এর রূপকল্পিক কাঠামো। এগুলি কেবল সুন্দর পটভূমির বিবরণ বা প্রাকৃতিক শক্তির উপস্থাপনা নয়। তারা মানবতার কাঁচামাল, এবং তারা একটি নির্মিত ল্যান্ডস্কেপ সঙ্গে পার্থিব প্রাণীদের অসতর্ক সংঘর্ষ দ্বারা গ্রাস করা হচ্ছে. এইভাবে, মিয়াজাকি সতর্কতার সাথে বিবেচনা না করে কল্পনা তৈরির বিপদের দিকে মনোযোগ দেয়। গল্পগুলো শূন্যে থাকে না, বাস্তবের সমান্তরালে থাকে। একজন শিল্পীর ব্যাখ্যা বিশ্বের শ্রোতাদের অভিজ্ঞতার সাথে গভীরভাবে যুক্ত হতে পারে, নতুন সংযোগ তৈরি করতে পারে এবং লোকেরা তাদের পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে কীভাবে চিন্তা করে তা পরিবর্তন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ক্যাটবাসের অনির্দিষ্ট চিত্র আমার প্রতিবেশী টোটোরো সমস্ত বয়সের মুক্তমনা দর্শকদের জন্য বিড়াল এবং বাস উভয়ের আকর্ষণের সাথে জট পাকানো বাস্তব বিশ্ব জুড়ে প্রতিধ্বনিত বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু একজন শিল্পী অদূরদর্শী বিশ্ব-নির্মাণ দিয়ে ভয় বা কুসংস্কার তৈরি করতে পারে।

রেকনিং উইথ রিয়ালিটি ইন দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন

মিয়াজাকি অগত্যা বলছেন না যে তার শিল্প তার দর্শকদের জীবনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে, তবে তিনি বাস্তবতার সাথে কথাসাহিত্যের সম্পর্ককে গণনা করছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিতে এই তিক্ত মিষ্টি ফ্যান্টাসি স্থাপন করে, তিনি দেখান যে কেউই অন্যের থেকে সত্যিই বিচ্ছিন্ন নয়। প্রকৃত 'উপরের বিশ্বে' মাহিতোর বাবা, শোইচি একজন সফল অস্ত্র ব্যবসায়ী যিনি মাহিতোর মানসিক অভিজ্ঞতার জন্য উন্মুক্ত হওয়ার সহানুভূতির অভাব বোধ করেন। তিনি নিজেকে একটি গল্প বলেন, যেখানে সবকিছু একটি দ্বন্দ্ব যেখানে আরও শক্তিশালী যোদ্ধা উপরে উঠে আসে। আরও নিঃস্বার্থভাবে, মাহিতো পলায়নবাদের বাইরে নয়, দুঃখের কারণে তার কল্পনার জগতে প্রলুব্ধ হয়। তার মৃত মা এখনও জীবিত এবং তার সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে. জোয়ান ডিডিয়নকে ব্যাখ্যা করার জন্য, লোকেরা বেঁচে থাকার জন্য নিজেদের গল্প বলে। মাহিতো অন্য জগতে আটকা পড়েছে, ক্ষণস্থায়ী অভিনবতার কারণে নয় বরং সে হারিয়েছে এমন মৌলিক কিছু খুঁজছে বলে। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে যে কাল্পনিক জগৎ তার প্রপিতামহের শিল্পকর্মের অধীন, তখন সে কল্পনার বদলে বাস্তবকে বেছে নেয়। তিনি দাদুকে বলেন যে তিনি তার সৃষ্টির ভিতরে যে বন্ধুদের তৈরি করেছেন তাকে তিনি মূল্য দেন, কিন্তু তার জীবনে ফিরে যেতে চান। মিয়াজাকি সৃষ্ট জগতের অন্বেষণের মাধ্যমে গড়ে ওঠা মানুষের সংযোগের গভীরতা তুলে ধরেন, কিন্তু তাদের মধ্যে হারিয়ে গিয়ে বা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত পূর্বপুরুষের আঘাতে আত্মসমর্পণ করে নয়।

শিন্টো বুঝতে চান? মিয়াজাকি মুভি দেখুন

একজন স্রষ্টা হিসাবে তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে মিয়াজাকির দ্বিধাদ্বন্দ্ব সর্বত্র অনুরণিত হয় দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন . মাহিতো যখন প্রথম অন্য জগতে নেমে আসেন, তখন তিনি দেখেন দান্তের নরকের দরজায় একটি সতর্কবাণী খোদাই করা একটি গেট। ইনফার্নো , ঘোষণা করে যে যারা সৃষ্টিকর্তার জ্ঞানের সন্ধান করে তাদের মৃত্যু হবে। অবশ্যই, এই ক্ষেত্রে, 'স্রষ্টা' হলেন মাহিতোর প্রপিতামহ, জ্ঞানের মজুতদার যিনি, ডন কুইক্সোটের মতো, 'অনেক বেশি বই' পড়ে নিজেকে হারিয়েছেন। এটি মিয়াজাকির মেটাফিকশনের মূলে রয়েছে: এটি শৈল্পিকতা বা কৌতূহল নয় যা ক্ষতিকারক, তবে তারা তৈরি করা বিশ্বকে গেটকিপিং করে। এর প্রেক্ষাপট থেকে জ্ঞান বিচ্ছিন্ন করা, যেমন পেলিকানকে মাছ ছাড়া পৃথিবীতে আনা, বিপর্যয়কর হতে বাধ্য। একটি জোরপূর্বক রূপক একটি দানব তৈরি করতে পারে, যেমন মাংসাশী প্যারাকিট মানুষ যারা মানুষ হতে জানে না। বিপরীতভাবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এমনকি একটি শক্তিশালী চিত্রের হৃদয়ে মানবতা থাকতে হবে, যেমন দুষ্টু বগলা তার ঠোঁটের মধ্যে একটি আক্ষরিক ছোট মানুষ ধারণ করে। মিয়াজাকি বলে মনে হয় যে সবকিছুই সংযুক্ত, প্রকৃতির সাথে মানবতা, কল্পনার সাথে বাস্তবতা। এটি এই ঐক্যের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলছে যা দুর্ভোগ সৃষ্টি করে।

মিয়াজাকি শুধু একজন দায়িত্বশীল, মানবিক গল্পকার হতে চায়

মাঝে ছেলে এবং হেরন মাহিতোর প্রপিতামহ তার মহাবিশ্বকে প্রভাবিত করতে ব্যবহার করেন পাথরের নড়বড়ে টাওয়ার, চলচ্চিত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপক। সংবেদনশীল পাথর থেকে কাটা, জ্যামিতিক ব্লকগুলি একজন শিল্পীর সরঞ্জামের একটি জটিল সংস্করণ উপস্থাপন করে। দাদু তাদের তৈরি করেছেন, হ্যাঁ, তবে পুরো কাপড়ের বাইরে নয়। তারা তাদের উত্স উপাদানের প্রকৃতি এবং মেজাজ বহন করে, ঠিক যেমন শিল্পের কাজের যে কোনও উপাদান, ঠিক যেমন ক্যাটবাসে বিড়াল এবং বাস উভয়ই রয়েছে . যখন দাদু মাহিতোকে নীচে মহাবিশ্বের প্রভু হিসাবে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, তখন তিনি মাহিতোকে বলেন যে বিশ্বকে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য তাকে প্রতি কয়েক দিনে ব্লকের টাওয়ারটি পুনর্গঠন করতে হবে। তিনি এই জ্ঞান প্রদান করার সাথে সাথে, হিউম্যানয়েড প্যারাকিটদের যুদ্ধবাজ রাজা নিমজ্জিত হয় এবং ক্ষমতা দখল করার চেষ্টা করে, ব্লকগুলি থেকে একটি অনিয়মিত কাঠামো তৈরি করে যা দ্রুত ধসে পড়ে। এটি চলচ্চিত্রের কাল্পনিক জগতকে বিশৃঙ্খলার মধ্যে ফেলে দেয়; গেটকিপিং জ্ঞান যেমন ক্ষতিকারক, তেমনি পরিণতি না বুঝে গল্পে অন্ধভাবে কারসাজি করা।

দ্য স্টোরি অফ স্পিরিটেড অ্যাওয়ের পিছনে আসল জাপানি লোককাহিনী এবং পুরাণ

82 বছর বয়সী স্টুডিও ঘিবলি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি কোনভাবেই শিল্পের গুরুত্বকে নিন্দা করছেন না দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন , তার পূর্ব ঘোষিত অবসর থেকে তার প্রত্যাবর্তন। প্রকৃতপক্ষে, তিনি তার খ্যাতির উপর বিশ্রাম নিতে অস্বীকার করেন, যেমনটি স্টুডিও ঘিবলি এক্সিকিউর ঘোষণা করেছে মিয়াজাকি ইতিমধ্যেই তার পরবর্তী ছবিতে কাজ করছেন . কিন্তু বিশ্ব-গঠনের বিপদ সম্পর্কে তার সমালোচনা যতটা তার নিজের দিকেই নির্দেশিত, যেমনটি দর্শকদের জন্য একটি সতর্কতামূলক গল্প। এটি একটি সাধারণ এক থেকে এক প্রতীকের উপর নির্মিত নয়; করুণাময় মাহিতো এবং তার বিষাক্ত সৃজনশীল প্রপৌত্র উভয়ের মধ্যেই মিয়াজাকি শিল্পী-এর চিহ্ন রয়েছে। এটি সব পাথর ব্লকের টাওয়ারের প্রতারণামূলকভাবে অতিরিক্ত চিত্রে ফিরে আসে। মিয়াজাকি যেটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে, তা হল শিল্পে ভারসাম্য খোঁজা, এবং বাস্তব জীবনে ভারসাম্যের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য কখন সরে যেতে হবে তাও জানা।

দ্য বয় অ্যান্ড দ্য হেরন

মাহিতো নামে একটি অল্পবয়সী ছেলে তার মায়ের জন্য আকুল আকাঙ্খায় জীবিত এবং মৃতদের দ্বারা ভাগ করা একটি জগতে প্রবেশ করে। সেখানে, মৃত্যু শেষ হয়, এবং জীবন একটি নতুন শুরু খুঁজে পায়। হায়াও মিয়াজাকির মন থেকে একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক কল্পনা।

পাগল এলফ